বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘর এটি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছে আয়নাঘর। যেখান থেকে ক্রমশ বেরিয়ে এসেছে ১০-১৫ বছর ধরে আটকে থাকা মানুষও! তবে বাস্তবে এই ঘরে সময়ের জনপ্রিয় টিভি নায়িকা কেয়া পায়েলের থাকার কথা নয়। কারণ, এখনও অভিনয়ে সাথে জড়িত আছেন তিনি।
নির্মাতা জয়নাল আবেদিন জয় সরকার জানিয়েছেন, আলোচিত ‘আয়নাঘর’ নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। নায়িকা হিসেবে থাকছেন কেয়া পায়েল। কথা বলেই চুপ নন নির্মাতা। এরই মধ্যে পরিচালক সমিতিতে সিনেমাটির সিনেমার নামও লিপিবদ্ধ করেছেন।
শায়েশা থেকে যে কোন ড্রেস অর্ডার করলেই পাবেন ডিস্কাউন্ট!
‘আয়নাঘর’-এ নেই কেয়া পায়েল!
অথচ দু’দিনের মাথায় বেঁকে বসলেন কেয়া পায়েল। যেন ‘আয়নাঘর’ থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক পৃথিবীতে চোখ মেলে অবাক হয়ে গেলেন এই অভিনেত্রী! তিনি গণমাধ্যমে স্পষ্ট করে জানালেন, ‘‘আয়নাঘর’ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কিভাবে কথাটা ছড়িয়েছে, তা-ও জানি না। এবং আমি ‘আয়নাঘর’ সিনেমাটি করছি না।’
এরপরই নির্মাতা জয় সরকার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানালেন, কেয়া পায়েল সত্যি সত্যি তার ‘আয়নাঘর’-এ ঢুকছেন না।
সরকার পতনের পর বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয়ভাবে গুমের শিকার রাজনৈতিক কর্মী, বিভিন্ন সংগঠক ও পেশাজীবীদের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সদর দপ্তরের একটি ঘরে আটকে রাখা হতো। ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত সেই কুঠুরিতে বছরের পর বছর মানুষকে আটকে রেখে তাদের ওপর চালানো হতো অমানবিক অত্যাচার। সম্প্রতি সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া মানুষগুলোর গল্প শুনে পুরো দেশ প্রায় স্তম্ভিত হয়ে আছে।
- ‘অ্যানিম্যাল’ দিয়ে বদলে গেল তৃপ্তি দিমরির ক্যারিয়ার
- শাকিব খানকে অপুর প্রথম সন্তান উপহার!
- কোয়েল মল্লিককে এবার সিরিয়ালে দেখা যাবে
সেই আয়নাঘরের অনুভূতি আর সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে ‘আয়নাঘর’ নামে সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন জয় সরকার। ছবিটি প্রযোজনা করছে র্যাবিট এন্টারটেইনমেন্ট। জয় সরকার বলেন, ‘আমার প্রথম ছবি ‘ইন্দুবালা’র নায়িকা ছিলেন কেয়া পায়েল। তাকে নিয়ে এবারের ছবিটিও বানাতে চাই। কেয়া ছাড়া আরও থাকবেন পরিচিত তারকারা। যদিও সেসব এখনও চূড়ান্ত করিনি। এখন গল্প লিখছি।’
নির্মাতা জানান, চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি আয়নাঘরে বন্দি কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি গল্পটি সাজানোর চেষ্টা করছেন। নির্মাতার বলেন, ‘আমি চাই সত্যটা উঠে আসুক। মানুষ জানুক কী কী হয়েছে আয়নাঘরে।’
অক্টোবরের শুরু থেকে ছবিটির শুটিং করার ছক এঁকেছেন নির্মাতা।
কেয়া পায়েল যখন মাধবীলতা!
মনের মানুষটাকে একান্ত নিজের করে পাওয়ার জন্য পৃথিবীতে কতো ঘটনাই তো ঘটে। তবে সব ঘটনাকে ছাপিয়ে এই ঘটনাটি একেবারেই ব্যতিক্রম ছিল। কেয়া পায়েলের বিশেষ নাটক ‘মাধবীলতা’।
প্রবীর রায় চৌধুরী ও অনিক ইসলামের যৌথ চিত্রনাট্যে এটি নাটক নির্মাণ করেছেন প্রবীর নিজেই। আর তাতে প্রধান দুই প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কেয়া পায়েল ও ফারহান আহমেদ জোভান।
সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে বিশেষ এই নাটকে প্রচারিত হয়েছে, গল্পে দেখা যায়- প্রেমিকা কেয়া পায়েলকে পেতে প্রেমিক জোভানের জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে। সেটি কি, জানতে হলে দেখতে হবে পুরো নাটক।
গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, ফেসবুক চ্যাটিং করে একে অপরের প্রেমে পড়ে যান জোভান ও কেয়া পায়েল। প্রেমের গভীরতা যখন বিয়ের সিদ্ধান্তে পৌঁছায় তখন জোভান আবিষ্কার করেন পায়েলের এক নতুন জটিলতা। যেটার কথা শুনে জোভানের পরিবার বেঁকে বসে। শুরু হয় প্রেমিকাকে পাওয়ার জন্য জোভানের অন্যরকম আত্মত্যাগের প্রক্রিয়া।
প্রযোজনা করেছেন এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু।
ঘরটাই যখন চিড়িয়াখানার মতো!
একটা অদ্ভুত পরিবারে বসবাস করেন কেয়া পায়েল। যেখানে তার বাবা-মা, ভাই-বোন-ভাবি; সবাই বসবাস করেন। অথচ পরিবারের সদস্যরা কেউ কারও সঙ্গে কথা বলে না। বললেও সেটার বার্তাবাহক হন ঘরের কনিষ্ঠ সদস্য কেয়া।
এমনই এক অদ্ভুত ঘরের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘চিড়িয়া ঘর’। নাটকের অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করেছেন কেয়া পায়েল। আরও আছেন তৌসিফ মাহবুব, সাইদুর রহমান পাভেল, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু প্রমুখ। সিএমভি’র ব্যানারে নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ও বানিয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি।
নির্মাতা বাপ্পির ভাষ্য মতে, এই নাটকে একটি অদ্ভুত পরিবারের গল্প রয়েছে। যে পরিবারের একমাত্র প্রাণস্পন্দন ছোট মেয়ে কেয়া পায়েল। যার কাজই হচ্ছে পরিবারের সব সদস্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা। অথচ সেই মেয়েটিই নিজের মনের মানুষটিকে পেতে পোড়াতে হচ্ছে কাঠ-খড়।
নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে কেয়া পায়েলের অভিমত এমন, ‘বিধাতার কাছে কিছু চাইলে সেটা বুঝে শুনে চাইতে হয়। তা না হলে কখন কোন চাওয়া কবুল হয়ে যায়, সেটা বলা মুশকিল। যেমন, আমার চরিত্রের মেয়েটি ছোটবেলা থেকে চিড়িয়াখানা খুব পছন্দ করতো। মনে মনে ভাবতো, সে যেন আজীবন এমন চিড়িয়াখানায় আসতে পারে। বড় হওয়ার পর মেয়েটি লক্ষ্য করলো, তার নিজের ঘরটাই চিড়িয়াখানায় পরিণত হয়েছে! এমনই এক অদ্ভুত পরিবারের গল্প এটি।’